ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ
যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে যেতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0429 এর লেভেল টেস্ট করে, যা ইউরো ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত এই ট্রেড থেকে লোকসান হয়। মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে, 1.0401 এর লেভেলের টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমাবদ্ধ করেছিল। এর কিছুক্ষণ পর, এই লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টের ফলে এই পেয়ার ক্রয়ের জন্য ভাল একটি সুযোগ পাওয়া যায়। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য ২০ পিপস বেড়েছিল, তবে ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম সেখানেই শেষ হয়ে যায়।
ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সত্ত্বেও, মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক নীতিমালার সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কিত ঝুঁকির ফলে মার্কেটে অতিরিক্ত অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে, যেমনটি উইকেন্ডে দেখা গেছে। মার্কিন অর্থ সচিব হিসাবে স্কট বেসেন্টের নিয়োগ ইউরোর মূল্যকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। আর্থিক জগতে তিনি তার সতর্ক অবস্থানের জন্য পরিচিত, এই নিয়োগের সংবাদ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা এবং পূর্বাভাসযোগ্যতার ব্যাপারে আশার সঞ্চার করেছে। ডলারের বিপরীতে ইউরোর দর বৃদ্ধি এই ইঙ্গিত দেয় যে, ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পিত শুল্ক যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতিবাচক সংকেত পাচ্ছে। অন্যদিকে, ট্রাম্পের কঠোর নীতিমালা থেকে উদ্ভূত অনিশ্চয়তা অর্থ বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে থাকবে, যা ট্রেডারদের সতর্ক থাকতে বাধ্য করবে। এমন পরিস্থিতিতে, আর্থিক নীতিমালা নিয়ন্ত্রণে বেসেন্টের দক্ষ পদ্ধতি আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আজ সকালে, ট্রেডাররা অধীর আগ্রহে জার্মানির IFO বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের অপেক্ষা করছে। এটি জার্মানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক, যা দেশটির অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা এবং ব্যবসার পরিস্থিতি প্রতিফলিত করে। এই সূচক বৃদ্ধি পেলে সেটি দেশটির অর্থনীতির উন্নয়নমুখী ধারা নির্দেশ করবে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে ইউরোর অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পারে। এছাড়া, IFO কারেন্ট অ্যাসেসমেন্ট ইনডেক্সের দিকেও নজর দেওয়া উচিত, যা কোম্পানিগুলো তাদের পরিস্থিতি ও কার্যক্রম কীভাবে মূল্যায়ন করছে তা নির্ধারণে সহায়তা করে। এই সূচক ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি ব্যবসায় আস্থা প্রতিফলিত করতে পারে, যা বিনিয়োগ ও ভোক্তা ব্যয়ের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। কোম্পানির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সম্পর্কে কেমনভাবে দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করছে সে সম্পর্কে IFO এক্সপেক্টেশনস ইনডেক্স অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে। এই সূচকের ইতিবাচক পূর্বাভাস মার্কেটে রিকোভারি এবং শেয়ারের দর বৃদ্ধির অনুঘটক হতে পারে, যেহেতু এই ধরনের ফলাফল বিনিয়োগকারীদের কাছে আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়। নেতিবাচক ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে, ইউরোর দরপতন পুনরায় শুরু হবে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #১ এবং #২ বাস্তবায়নে মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0532-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় 1.0494-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0532 পয়েন্টে গেলে, আমি মার্কেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে বিপরীত দিকে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। দিনের প্রথমার্ধে শুধুমাত্র প্রকাশিতব্য সামষ্টিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং শুধুমাত্র একটি কারেকশনের অংশ হিসেবে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ ! কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0473-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি সম্ভবত এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.0494 এবং 1.0532-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0473-এর লেভেলে (চার্টে লাল লাইন) পৌঁছানোর পরে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0435-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি মার্কেট থেকে বের হয়ে অবিলম্বে বিপরীত দিকে ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (এই লেভেল থেকে 20-25 পিপস বিপরীতমুখী মুভমেন্টের আশা করছি)। যেকোন মুহূর্তে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে, তবে যতটা সম্ভব মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার বিক্রি করা উচিত হবে।
গুরুত্বপূর্ণ ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0494-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0473 এবং 1.0435-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
- গাঢ় সবুজ লাইন: টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
- গাঢ় লাল লাইন:টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- MACD সূচক: মার্কেটে এন্ট্রি করার সময়, ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ:
- মার্কেটে এন্ট্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে ট্রেডিং না করাই উচিত।
- সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেড করলে, ঝুঁকি কমাতে সর্বদা স্টপ-লস অর্ডার সেট করুন।
- স্টপ-লস অর্ডার বা মানি ম্যানেজমেন্টের কৌশল ছাড়াই ট্রেড করলে আপনার ডিপোজিট দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে বড় ভলিউমে ট্রেড করার সময়।
- সফলভাবে ট্রেড করার জন্য ট্রেডিংয়ের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে, ঠিক যেমনটি আমি এই নিবন্ধে প্রদর্শন করেছি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা যেকোন নতুন ট্রেডারের জন্য সহজাতভাবে লোকসান বয়ে নিয়ে আসতে পারে।